আমি কিছুদিন ধরে একটি বই পড়ছি। বইটি মূলত কীভাবে নেগোশিয়েশন করতে হয়; সে বিষয়টি নিয়ে লেখা। এতে অনেকগুলো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি হলো শোনা বা মনোযোগ দিয়ে শোনা। আমি এই বিষয়টি নিয়ে আমার বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে করবো।
আমি লক্ষ্য করেছি, আমরা বেশিরভাগই ভালো শ্রোতা নই। পেশার ভিত্তিতে বিবেচনা করলে দেখা যায়, এটি কৃষক থেকে শুরু করে দেশের প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রীর মধ্যেও দেখা যায়।
একটা উদাহরণ দিই: ধরুন, আপনি একটি কোম্পানির একটি ডিপার্টমেন্টের টিম লিড। এখন আপনার একজন জুনিয়র টিমমেট একটি ইস্যু নিয়ে আপনার কাছে এসেছে। যেহেতু আপনার পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে, আপনি আগেও এই ধরনের সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন এবং কিভাবে সমাধান করতে হয় তা জানেন। যখন আপনার টিমমেট আপনাকে বিষয়টি ব্যাখ্যা করছে, আপনি আগেই বুঝে যাচ্ছেন যে সে পরবর্তীতে কী বলতে চায়। আপনি পুরোটা না শুনে মাঝপথে তাকে থামিয়ে দিলেন।
আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বুঝেছি, এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মধ্যে একধরনের অহংকার এবং অধৈর্যতা কাজ করে। মনে হয়, সময় নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু এই আচরণ আমাদের অনেক সুযোগ হাতছাড়া করে
যেমন:
১. ওই টিমমেটের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি করা।
২. ওই টিমমেটের শ্রদ্ধা অর্জন করা।
৩. টিমে অবদান রাখার জন্য ওই টিমমেটকে অনুপ্রাণিত করা।
৪. আপনি কোনো অবস্থানে পৌঁছালেও, এই আচরণ আপনার উন্নতি থামিয়ে দেবে, যা আপনার পরবর্তী পদোন্নতির সুযোগ হারাবে।
আমি একটি খারাপ উদাহরণ দিই: শেখ হাসিনা (সাবেক বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী) ভালো শ্রোতা ছিল না। যার কারণে সে তার জনগণ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম কী চায়, তা বুঝতে পারে নাই। সব কিছুরই একটি মূল্য আছে। ক্ষমতা ছেড়ে তাকে এর মূল্য দিতে হয়েছে।
Top comments (0)