কোড অপটিমাইজেশন আর পারফরম্যান্স টিউনিং— নাম শুনলেই কেমন যেন একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার মনে হয়, তাই না?
বিশেষ করে যখন একটা পুরনো প্রোজেক্ট হাতে আসে, যেখানে কোয়েরিগুলো স্লো আর কোডবেসটা কিছুটা এলোমেলো। এমন পরিস্থিতিতে পারফরম্যান্সকে ৪০% বাড়ানো বা দৈনিক ৫০০+ ট্রানজাকশন হ্যান্ডেল করার চ্যালেঞ্জটা আমি দারুণ উপভোগ করি।
একটা প্রজেক্টে পারফরম্যান্সের চ্যালেঞ্জগুলো আমি মূলত কয়েকটি ধাপে সমাধান করি:
১. বটলনেক চিহ্নিত করা (Identify the Bottleneck): প্রথমে খুঁজে বের করি সমস্যাটা কোথায়। এটি হতে পারে স্লো ডেটাবেজ কোয়েরি, অতিরিক্ত মেমরি ব্যবহারকারী কোড, অথবা অপ্রয়োজনীয় API কল।
২. ডেটাবেজ অপটিমাইজেশন: বেশিরভাগ সময় পারফরম্যান্সের মূল সমস্যাটা ডেটাবেজেই থাকে। এক্ষেত্রে MySQL-এর স্লো কোয়েরিগুলো অপটিমাইজ করি, ইনডেক্সিং করি, এবং রিড-হেভি অপারেশনগুলোর জন্য Redis-এর মতো ক্যাশিং সলিউশন ব্যবহার করি।
৩. কোড রিফ্যাক্টরিং ও আর্কিটেকচারাল পরিবর্তন: এরপর অ্যাপ্লিকেশন লেভেলে আসি। PHP-এর Laravel-এ অপ্রয়োজনীয় লুপ বা ফাংশনগুলোকে রিফ্যাক্টর করি। এছাড়া, যে কাজগুলো অনেক সময় নেয় (যেমন রিপোর্ট তৈরি বা ইমেইল পাঠানো) সেগুলোকে Laravel Job Queue-এর মাধ্যমে অ্যাসিঙ্ক্রোনাসলি হ্যান্ডেল করি।
৪. ফ্রন্টএন্ড অপটিমাইজেশন: ফ্রন্টএন্ডেও (Vue.js) পারফরম্যান্স বাড়ানোর জন্য কাজ করি। JavaScript বান্ডেল অপটিমাইজ করা, কম্পোনেন্ট ক্যাশিং, এবং অপ্রয়োজনীয় রেন্ডারিং কমানোর মাধ্যমে ইউজার এক্সপেরিয়েন্স আরও স্মুথ করি।
আপনারা এমন কোনো প্রজেক্টে কাজ করেছেন যেখানে পারফরম্যান্স নিয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল? কোন টেকনিকটা সবচেয়ে বেশি কাজে লেগেছে? কমেন্টে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন!
Top comments (0)